জাহাজে সাত খুন
ছেলের মৃত্যু শোকে মারা গেলেন বাবা
আপলোড সময় :
২৭-১২-২০২৪ ০২:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-১২-২০২৪ ০৫:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সজিবুল ইসলামের বাবা দাউদ মোল্যা ছেলের নির্মম মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মারা গেছেন। ছেলের শোকে বাবার এমন মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। সজিবুলের মামা আহাদ সরদার শুক্রবার (২৭ডিসেম্বর) সকালে দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সজিবুলের বিয়ের পাঁচ মাস পূর্ণ হবে। পদোন্নতি হলে বেতন বাড়বে, বড় জাহাজে চাকরি হবে- এ কারণে পরীক্ষা দিয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে বাড়িতে ধান কাটার কাজ করে গেছে। যাওয়ার সময় বাড়িতে বলে গেছে, রেজাল্টের অপেক্ষায় ঘরে বসে না থেকে ছোট একটা জাহাজে কাজ করে আসি, তাতে কিছু রোজগার হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।
পাঁচ বছর ধরে জাহাজের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছিলেন সজিবুল ইসলাম। সম্প্রতি জাহাজের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। মাঝের এই সময়টায় বসে না থেকে সপ্তাহ দুয়েক আগে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে গ্রিজার পদে চাকরি নেন। সজিবুল ইসলামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বলেন, জাহাজে হত্যার শিকার সজিবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সংবাদ রাতেই জানতে পেরেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে ৭ জনকে হত্যা করা হয়।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিনিধি/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স